ইস্টার পর্বের একটি বড় প্রশ্ন

ইস্টার পর্বের একটি বড় প্রশ্ন

পাষ্টর এ এম চৌধুরী

“ঈসা মার্থাকে বললেন, আমিই পুনরুত্থান ও জীবন। যে আমার ওপর বিশ্বাস করে, সে মরলেও জীবিত হবে। আর যে জীবিত আছে এবং আমার ওপর বিশ্বাস করে সে কখনও মরবে না। তুমি কি একথা বিশ্বাস করো?’’ ইউহোন্না ১১:২৫-২৬ আয়াত।
আমরা সবাই মৃত্যুর পরের জীবন সম্পর্কে আশ্চর্য হই। তাই না? এটার কারণ আমরা স্বাভাবিকভাবে কখনও না কখনও মৃত্যুবরণ করছি। একজন ক্যান্সার রোগী জানে তাকে কোন এক সময় মরতে হবে। হয়তো সেই মৃত্যুকে বিভিন্ন চিকিৎসা পদ্ধতির মাধ্যমে কিছুটা বিলম্ব করতে পারবে কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাকে মরতে হবে। এটিই স্বাভাবিক। সেই মৃত্যুর স্বাদ কেমন হবে তা নিয়ে হয়তো অনেকে অনেকভাবে ধারণা করে থাকে। মৃত্যুর পর কী হবে? কোথায় যাবো? কোথায় থাকবো? যেখানে যাবো সেখানে কী করবো? ইত্যাদি।
১. মৃত্যু : আমাদের শেষ শক্র
খোদার লোকদের জন্য মৃত্যু হলো সত্যিই শেষ শত্রু। এটি আমার কথা নয়। কিতাবে ১ করিন্থীয় ১৫:২৬ আয়াতে সেই কথা বলা হয়েছে। আমরা অনেক শত্রুকে পরাজিত করতে পারি, কিন্তু মৃত্যু শেষ পর্যন্ত বিজয়ী হয়। আমরা মৃত্যুকে এড়িয়ে যেতে পারি, তার আগমনকে হয়তো একটু বিলম্বিত করতে পারি কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা কোন উপকারে আসে না। কিতাব এই কথা বলে, এটি পূর্ব নির্ধারিত যে প্রত্যেক মানুষ মরবে। কেউ সেই নিয়তি থেকে পালিয়ে থাকতে পারবে না।
অনেকে আছে নিজের চিকিৎসার জন্য বা শেষ পর্যন্ত একটু বেঁচে থাকার জন্য নিজের শেষ সম্বলটুকু বিক্রি করে। সবচেয়ে ভাল চিকিৎসাটুকু করার চেষ্টা করে। হয়তো আপনার নিজের কোটি কোটি টাকা আছে, নিজের আধুনিক হাসপাতাল আছে। তারপরও সমস্ত কিছুর বিনিময়ে আপনি আমি নিজেকে শেষ রক্ষা করতে পারবো না। আমাদেরকে মৃত্যুর কাছে পরাজিত হতে হবে। অনেকের জীবনের শেষ দিনগুলো কান্নার মাধ্যমে অতিবাহিত হয়। আপনজনকে চিনতে পারে না। কেউ তার কাছে গেলে জিজ্ঞাসা করে, তুমি কে? অনেককে স্বরণ করতে পারে না। দেখা যায় শেষ মুহূর্তগুলো শুধু কান্নাই তার সাথি।
একই ভাবে হযরত ঈসাও মৃত লাসারের কবরের সামনে দাঁড়িয়ে কেঁদেছিলেন। অনেকে তখন হয়তো অবাক হয়েছে এই ভেবে যে, তিনি তো তাকে মৃত থেকে জীবিত করবেন তাহলে আবার তার জন্য কাদঁছেন কেন? আমরা মনে হয় তিনি কাদঁছিলেন কারণ তিনি তাকে ভালোবাসতেন এবং তিনি মৃত্যু যন্ত্রণা নিজে উপলব্ধি করতে পারছিলেন। তিনি সেসময় লাসারের বোন মরিয়ম ও মার্থার মর্মযন্ত্রণা দেখেছিলেন এবং এই জগতে মৃত্যুর কারণে যে যন্ত্রণা মানুষকে সহ্য করতে হচ্ছে তা দেখে তিনি কেঁদেছিলেন।
মৃত্যু হলো আমাদের শেষ শত্রু, যে পর্যন্ত এটিকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করা না হয় সেই পর্যন্ত ঈসার মতো আমাদেরকেও কাঁদতে হবে।

২. ঈসা ও মৃত্যু

যখন আপনি ইঞ্জিল শরীফের ইউহোন্না খন্ডের ১১ রুকু পাঠ করবেন তখন হয়তো অবাক হবেন যে, তিনি যখন শুনলেন তাঁর ভালোবাসার মানুষ লাসার অসুস্থ তখন তিনি যেখানে ছিলেন সেখানে আরো দেরি করলেন। ইতিমধ্যে লাসার মারা গেলো এবং যখন ঈসা লাসারের বাড়ি পৌঁছলেন তখন তাকে দাফন করা হয়ে গেছে প্রায় ৪ দিন। যখন লাসারের বোন মার্থা ঈসাকে দেখলেন তখন সে বলে উঠলো, “প্রভু, আপনি যদি এখানে থাকতেন তবে আমার ভাই মারা যেত না।” এই কথাগুলোর মধ্যে আমরা দুঃখ ও প্রকট বিশ্বাসের একটি সংমিশ্রণ দেখতে পাই।
“আপনি যদি এখানে থাকতেন।” আমরা সব সময় এই কথাটি নিয়ে চিন্তা করি। যদি ঈসা এখানে থাকতেন তাহলে আমাদের বিবাহিত জীবনটি রক্ষা পেতো। প্রভু, যদি আপনি এখানে থাকতেন তাহলে আমি ধৈর্য্য হারা হতাম না। যদি ঈসা এখানে থাকতেন তাহলে আমাদের প্রয়োজনের সময় আমাদের পরিবার একত্রিত হয়ে থাকতে পারতাম।
কিন্তু ঈসা এখন এখানে উপস্থিত। তিনি এখন কী করবেন? লাসার মারা গেছে বেশ কয়েকদিন হয়ে গেলো, তাই তৎক্ষণাৎ মৃত থেকে পুনরায় জীবিত হয়ে উঠবে সেই চিন্তা করার কোনো কারণ নেই। মার্থাও তাই মনে করেছেন ঈসা যদিও তাকে সুস্থ করেন তবুও তার ভাই সেই শেষদিনে পুনরায় জীবিত হয়ে উঠবেন। মার্থার মনে কখনও এমন চিন্তা আসেনি যে এখনই ঈসা ইচ্ছা করলে তার ভাইকে জীবিত করে তুলতে পারেন।
তাই ঈসা মার্থার মনের কথা বুঝতে পেরে পুনরুত্থানের বিষয়ে বিখ্যাত কথাগুলো বলেছিলেন। “আমিই পুনরুত্থান ও জীবন। যে আমার ওপর বিশ্বাস করে, সে মরলেও জীবিত হবে। আর যে জীবিত আছে এবং আমার ওপর বিশ্বাস করে সে কখনও মরবে না। তুমি কি একথা বিশ্বাস করো?”
এই কথাগুলো যদিও সাধারণ কিন্তু বিগত দুই হাজার বছর যাবত তা খোদার লোকদের জন্য প্রত্যাশার কারণ হয়ে আছে। কিতাবের এই অংশগুলো আমরা উদ্ধৃত করি কারণ তা ঈসা মসীহের উপর আমাদের গভীর বিশ্বাস প্রকাশ করে। অনেক সময় এই কথাগুলো বুঝতে আমাদের অসুবিধা হয় বটে। কারণ তিনি এক জায়গায় বলেছেন, মানুষ মরলেও জীবিত থাকবে। আবার তিনি অন্য জায়গায় বলেছেন, যদি কোন মানুষ তাঁকে বিশ্বাস করে তাহলে সে কখনও মরবে না। কিভাবে এটি সম্ভব যে আপনি একই সাথে মরতেও পারেন আবার জীবিতও থাকতে পারেন? এখানে এমন কোন মৃত্যু কি আছে যা আসলে মৃত্যু নয়? এর দ্বারা ঈসা আসলে কী বুঝাতে চেয়েছেন। আসুন এই বিষয় নিয়ে আরো বিস্তারিত আলোচনা করা যাক।
ক) তিনি সমস্ত রকমের মৃত্যুর মালিক
হযরত ঈসা বলেছেন, আমিই পুনরুত্থান ও জীবন। লক্ষ্য করলে দেখা যায় এটি সম্পূর্ণ একটি ব্যক্তিগত বিষয়। তিনি বলেন নি যে, আমি পুনরুত্থান ও জীবন নিয়ে আসবো। বরং তিনি বলেছেন, আমিই পুনরুত্থান ও জীবন। ঈসা মসীহের উপস্থিতিতে মৃত্যু আর থাকবে না। এটি সম্পূর্ণ ভিন্ন একটি বিষয়। এই বিষয়ে হযরত পৌল বর্ণনা করেছেন, মৃত্যু ধ্বংস হয়ে জয় এসেছে।
এটি কিভাবে হয়েছে? কারণ ঈসা মসীহের মাধ্যমে মৃত্যু বিবর্তনরূপ লাভ করেছে। পাঠকদের হয়তো মনে আছে যে, মৃত্যুর বিষয়ে ঈসা সবসময় ‘নিদ্রা’ শব্দটি ব্যবহার করেছেন। যখন যায়ীরের মেয়েকে দেখলেন, তখন ঈসা বলেছেন, সে নিদ্রাগত। একইভাবে সাহাবীদেরকে লাসারের বিষয় বলেছিলেন, সে নিদ্রাগত। তখন সাহাবীরা বলেছিলেন, তাহলে তো সে জেগে উঠবে। কারণ নিদ্রা বা ঘুম হলো প্রাকৃতিক একটি বিষয়। যারা নিদ্রা যায় তারা পুনরায় নিদ্রা থেকে জেগে উঠে। এটি একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। একইভাবে যারা খোদার লোক তাদের মৃত্যু হয় না তারা দীর্ঘসময় নিদ্রাগত থাকে মাত্র। তার দেহ কিছুদিন শুয়ে থাকে বা অনেক বছর ঘুমিয়ে থাকে কিন্তু পরিশেষে সে সেই নিদ্রা থেকে জেগে উঠবে। মৃত লাসারকে জীবিত করেছিলেন। এটি ছিল একটি নমুনা সমস্ত ঈসায়ী ভক্তদের জন্য কারণ তিনি যখন পৃথিবীতে পুনরায় আসবেন তখন তিনি আমাদের সকলকে একইভাবে জীবিত করে তুলবেন।
পুনরুত্থান ও জীবন শুধু মাত্র ঈসা মসীহের ব্যক্তিগত। অন্য কেউ এর অধিকারী হতে পারে না। কিন্তু যারা ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাসে হযরত ঈসা মসীহের সাথে যুক্ত হয় শুধু তারাই সেই পুনরুত্থানে প্রত্যাশা রাখতে পারবে।
যদি আপনি ঈসা মসীহকে জানেন তাহলে পুনরুত্থান ও জীবনের বিপরীতে অন্য কি আর থাকতে পারে? যদি আপনি তাঁকে না জানেন তাহলে আপনার জীবনে কোন প্রত্যাশা নেই। যখন আমরা জানি একদিন আমাদের মৃত্যু হবে তখন আমরা এও জানি একদিন আমরা তাঁর সাথে জীবিতও থাকব।
খ) আমাদের সকলের মৃত্যুর উত্তর হলো হযরত ঈসা
“যে আমার ওপর বিশ্বাস করে, সে মরলেও জীবিত হবে।” এক মুহূর্তের জন্য এই কথাগুলো সম্পর্কে চিন্তা করুন। যদিও আপনি মারা যান তবুও আপনি জীবিত থাকবেন। মানব হৃদয়ের ভিতরে সবচেয়ে গভীরতম ও প্রয়োজনীয় এক ইচ্ছা। আমাদের জানতে হবে মৃত্যুই শেষ নয়। যদিও মৃত্যুর কাছে কোন আপিল করা চলে না, কোন রকম কথোপকথন চলে না, কোন রকম ইচ্ছাপূরণ চলে না কিন্তু তারপরও আমরা যারা ঈসাতে বিশ্বাসী আমাদের রয়েছে এক মহান প্রত্যাশা। ঈসা মসীহ ব্যতিত আর অন্য কোথাও প্রত্যাশা আছে?
গ) তিনি সব সময়ের জন্য মৃত্যুর উপরে বিজয়ী হয়ে উঠেছেন।
“আর যে জীবিত আছে এবং আমার ওপর বিশ্বাস করে সে কখনো মরবে না।” ঈসা মসীহ এখানে এক আশ্চর্য প্রতিজ্ঞা করেছেন। তিনি মৃত্যুকে পরাজিত করেছেন বলেই যারা তাঁর উপর বিশ্বাস করে তারা এই জাগতিকভাবে মরলেও আত্মায় জীবিত থাকবে। যে জীবন খোদার সামনে সব সময়ের জন্য উপস্থিত থাকবে। সেজন্য হযরত পৌল বলেছেন, এই জগতের মৃত্যুই আমাদের জন্য লাভ। আর তাই হযরত দাউদ বলেছেন, “আমি চিরকাল সদাপ্রভুর ঘরে বাস করবো।” ঈসার এই কথা মনের মধ্যে ছিল বলেই মৃত্যু পথ যাত্রি ডাকাতকে তিনি বলেছিলেন, তুমি আজকেই আমার সঙ্গে পরমদেশে উপস্থিত হবে।
একবার কল্পনা করুন এমন আর কিসের সাথে তুলনা করা যায় যেভাবে ঈসা মৃত লাসারকে পুনরুত্থিত করেছিলেন। প্রথমে তিনি লাসারের কবর থেকে পাথরটিকে সরিয়ে ফেলতে বললেন। কিন্তু তাতে মার্থা আপত্তি করলেন এই বলে যে, সেই কবর এখন দুর্গন্ধ হয়ে গেছে কারণ বেশ কয়েকদিন হয়েছে যেখানে লাসারকে দাফন করা হয়েছে। এরপর তিনি খোদার কাছে প্রার্থনা করলেন। তারপর তিনি জোরে ডাক দিয়ে বললেন, লাসার, বের হয়ে এসো। কেন তিনি তার নাম ধরে ডাকলেন? কারণ যদি সেই দিন তিনি লাসারের নাম ধরে না ডাকতেন তাহলে জগতের সমস্ত কবর হঠাৎ করে শূন্য হয়ে যেত। কিতাব এই কথা বলে, সেই সময় লাসার কবর থেকে বের হয়ে এসেছিল কিন্তু তার শরীরে দাফনের কাপড় জড়ানো ছিল। তখন ঈসা সকলকে বললেন, যেন তারা সেই কাপড়ের বাঁধন খুলে দেন যেন লাসার মুক্ত হয়।
এখানে হয়তো কিছু বিষয় আছে যা আপনার বিবেচনায় আনছেন না। লাসার মৃত্যু থেকে জীবিত হয়েছিলেন তবে পুনরায় তিনি মৃত্যুবরণ করবেন। তাহলে কেন ঈসা লাসারকে জীবিত করেছিলেন? সেটি হয়েছিল যেন আমরা জানতে পারি যে তিনি নিজেই তা করবেন। তা না হলে যে কোন কেউ বলতে পারতো ‘আমিই পুনরুত্থান ও জীবন’। কিন্তু এই কথা এখন একমাত্র ঈসা মসীহ যিনি খোদা থেকে এসেছেন তিনিই বলতে পারেন।
৩. এই প্রশ্নটার উত্তর আপনাকে দিতে হবে
এটি পুনরুত্থান দিবস বা ইস্টার সানডের সকাল ২০১৭। এই দিনের অর্থ কি? এর অর্থ হলো আপনি ঈসা মসীহের মাধ্যমে মৃত্যু ভয় থেকে মুক্ত হতে পারেন। কিন্তু সেজন্য আপনাকে একটি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। এই প্রশ্নটি লাসারের ঘটনায় উল্লেখ রয়েছে ইউহোন্না ১১: ২৬ আয়াতে। সাধারণভাবে আমরা সেই প্রশ্নটিকে এড়িয়ে যাই, কিন্তু ঈসা মসীহ যা বলেছেন তার এটিই হলো মূল চাবি। আমরা যখন এই অধ্যায়টি পাঠ করি তখন ঐ প্রশ্নটি ঠিকই এড়িয়ে যাই। কিন্তু যখন আপনি এই প্রশ্নটি এড়িয়ে যান তখন এই অংশের মূল বিষয়টিই আমরা হারিয়ে ফেলি।
এখানে প্রশ্নটি হলো, “তুমি কি একথা বিশ্বাস করো?” এটিই হলো এবারের ইষ্টারের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এর উত্তরগুলোও ব্যক্তিগত হওয়া আবশ্যক।
১. আপনি কি আপনার সমস্ত হৃদয় দিয়ে বিশ্বাস করেন যে ২০০০ বছর আগে এই পৃথিবীতে খোদার পুত্র ঈসা মসীহ বেহেস্ত থেকে নেমে এসেছিলেন?
২. আপনি কি বিশ্বাস করেন যে, যখন ঈসা ক্রুশে মৃত্যুবরণ করেছিলেন, তখন তিনি আপনার পরিবর্তে মৃত্যুবরণ করেছিলেন, আপনার শাস্তি তিনি বহন করেছিলেন এবং আপনার পাপের মূল্য পরিশোধ করেছিলেন ?
৩. আপনি কি বিশ্বাস করেন যে, ঈসা মসীহ ইস্টার সানডে সকালে তিনি আক্ষরিক,শারীরিক ও দৈহিকভাবে মৃত্যু থেকে জীবিত হয়ে উঠেছিলেন এবং আর কখনও মৃত্যুবরণ করবেন না?
৪. আপনি কি বিশ্বাস করেন যে ঈসা মসীহ এখন পিতা খোদার ডান পাশে বসে আছেন?
৫. আপনি কি বিশ্বাস করেন যে ঈসা মসীহ সত্যিই পুনরুত্থান ও জীবন এবং যারা তাঁর উপর বিশ্বাস করে তাদের মৃত্যু ভয় তিনি দূর করে দিবেন?
আমি আলোচনা শুরু করেছিলাম মৃত্যুর পরের জীবন নিয়ে। মৃত্যুর পরে যে জীবন আছে তার বড় প্রমাণ হলো হযরত ঈসা মসীহ। কারণ তিনি মৃত্যু থেকে জীবিত হয়েছেন এবং এখন খোদার কাছে আছেন। আপনি হয়তো মৃত্যুর পরের জীবন নিয়ে অনেক চিন্তিত। হয়তো ভাবছেন মরতে তো একদিন হবে। কিন্তু এরপর যাব কোথায় বা থাকব কোথায়?
সমস্ত কিতাব এই সাক্ষ্য দিচ্ছে যে, ঈসা মসীহ জীবিত এবং খোদার কাছে আছেন। আর আপনিও যদি তাঁর উপর বিশ্বাস করেন তাহলে তাঁর ও খোদার সাথে থাকার সুযোগ আপনারও আছে। আমেন।
First