Goal Setting || লক্ষ্য নির্ধারন

 

লক্ষ্য নির্ধারন

-পাষ্টর আবদুল মাবুদ চৌধুরী
এই শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য :
 
লক্ষ্য নির্ধারন বিষয়ে শিক্ষার শেষে আপনি যা জানতে পারবেন -
 
∆         লক্ষ্য নির্ধারনের ক্ষমতা সম্পর্কে আপনি জানতে পারবেন
∆         লক্ষ্য নির্ধারনের পদ্বতি ও উপযুক্ত পরিকল্পনা প্রনয়নে কি কি বিষয় সংযুক্ত করতে হবে সে বিষয়ে সচেতন হতে পারবেন
∆         ব্যক্তিগত লক্ষ্য নির্ধারনের জন্য একটি পরিকল্পনা প্রস্তুত করতে পারবেন
 
∆          আপনি আগামিকালকে সামনে রেখে যে কাজ করে যাচ্ছেন
 
∆          আপনি যে বিষয়ে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ সে বিষয়ে কর্তৃত্ব করা
 
∆          অলস বা কর্মহীন সময়েও আপনার মনকে কি গম্ভীর করে রাখে?
 
∆          আপনার অর্থ  কি জন্য খরচ করে থাকেন?
 
 
আমরা কি কোথাও ভুল পথে যাচ্ছি?
 
“ দর্শনের অভাবে প্রজাগণ উচ্ছৃঙ্খল হয়;
কিন্তু যে ব্যবস্থা মানে, সে ধন্য।” -হিতোপদেশ ২৯:১৮
 
 
দর্শন কিভাবে কাজ করে?
 
∆         দর্শন -পরিকল্পনা = স্বপ্ন
 
∆         পরিকল্পনা -দর্শন = আমোদ-প্রমোদ
 
∆         দর্শন + পরিকল্পনা -বাস্তবায়ন = নৈরাশ্য বা ব্যর্থতা
 
∆         দর্শন + পরিকল্পনা + বাস্তবায়ন = পরিপূর্ণতা
 
“আর আমার খোদা গৌরবে মসীহ ঈসাতে স্থিত আপন ধন অনুসারে
তোমাদের সমস্ত প্রয়োজনীয় উপকার পূর্ণরূপে সাধন করিবেন”। -ফিলিপীয় ৪ : ১৯
 
 
প্রশ্নঃ
 
যখন আপনি তাঁকে জিজ্ঞাসা করবেন, তখন আপনার অনুরোধ সক্রিয় অথবা নিস্ক্রিয়?
কিছু সময়ের জন্য চিন্তা কর”ন, আপনি কি সময় নিয়ে আপনার অনুরোধটি প্রস্তুত করেছিলেন?
 
 
লক্ষ্যকে শক্তিশালী করতে হলে ৭টি ধাপ লিখে রাখতে হবে!
 
১.যদি কোন কিছু লক্ষ্য নির্ধারন করে করতে চান তাহলে মনে রাখতে হবে তা সত্যিই প্রয়োজন আছে কি না বা শুধু শুনতে বা দেখতে ভাল সেজন্য তা করতে চান?
লক্ষ্য নির্ধারন করার সময় আপনাকে অবশ্যই গুর”ত্ব দিতে হবে যে, আপনার সামর্থের সাথে আপনার লক্ষ্যের সামঞ্জস্য রয়েছে।
 
 
২.কোন লক্ষ্য অন্য কোন লক্ষ্যের সাথে যেন প্রতিদ্ধন্ধি না হয়
লক্ষ্য নির্ধারন করার সময় অবশ্যই দৃষ্টি দিতে হবে যে, আমাদের চিন্তার সাথে লক্ষ্যের যেন দ্বন্ধ না হয়।
 
৩.লক্ষ্য উন্নয়নের জন্য জীবনে ৬দিন দিকনির্দেশনা থাকতে হবে -
 
ক)         পরিবার এবং ঘর
 
খ)         অর্থনৈতিক এবং উন্নতি
 
গ)         আধ্যাত্মিক এবং নৈতিক
 
ঘ)         দৈহিক এবং স্বাস্থ্য
 
ঙ)         সামাজিক এবং সংস্কৃতি
 
চ)         মানসিক এবং শিক্ষা
 
৪. নেতিবাচক ধারনার পরিবর্তে ইতিবাচক ধারণা নিয়ে আপনার লক্ষ্য লিখে রাখুন
ইতিবাচক মনোভাবের মধ্যে দিয়ে ইতিবাচক ফল পাওয়া যাবে। ইতিবাচক চিন্তা বিশ্বাসী হিসেবে বৃদ্ধি পেতে আপনাকে সাহায্য করবে।
 
 
৫. আপনার লক্ষ্য সম্পূর্ণ বিস্তারিত ভাবে লিখে রাখুন
বিস্তারিত ভাবে লক্ষ্য লিখে রাখলে পরিস্কার নির্দেশনা পেতে সাহায্য করবে যা পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সময় সেদিকে দৃষ্টি দিতে পারবেন।
 
৬. সমস্ত অর্থে আপনি নিশ্চিত হোন আপনার লক্ষ্য যথেষ্ট সমৃদ্ধ।
 
৭. কোন কিছু পরিকল্পনা করতে পারেন কিন্তু খোদা যদি তা অর্জন করতে
সাহায্য না করেন তাহলে সফর হতে পারবেন না -জন হাগাই
 
৮. আপনার লক্ষ্য লিখে রাখা হলো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।
 
লক্ষ্য লিখে রাখলে তা আপনার সফলতায় দিক নিদের্শক হিসেবে কাজ করবে। তাহলে সব সময় আপনি আপনার লক্ষ্য মূল্যায়ন করতে পারবেন।
 
মনে রাখবেন,
পরিকল্পনা করতে ব্যর্থ হলে
পরিকল্পনাই ব্যর্থ হবে। 


লক্ষ্যের কাঠামোগত সুযোগ :


 “বাস্তবিক দুর্গ নির্মাণ করিতে ইচ্ছা হইলে তোমাদেও মধ্যে
কে অগ্রে বসিয়া ব্যয় হিসাব করিয়া না দেখিবে, সমাপ্ত করিবার সঙ্গতি . . . .” লুক ১৪ : ২৮
 
 
 
লক্ষ্যের কাঠামোগত সুযোগ কি ?
 
 
কাঠামোগত সুযোগ হলো পরিকল্পনার একটি পদ্বতি। এটি ব্যবহার করে আমরা বিষয়ের প্রসারতা, ধারাবাহিকতা প্রস্তুত এবং কাঠামো নির্ধারন করার সুযোগ নিতে পারি।
 
একটি কাঠামো ব্যবহার করে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাবার পথ নিদের্শনা লাভ করতে পারি।


কাঠামো তৈরীর পদ্বতি :
 
 ষ্টেইকহোল্ডারদের যুক্ত করার উপকারিতা কি?
 
∆         কোন পরিকল্পনায় অতিরিক্ত খরচ এড়ানোর জন্য তাদেও জ্ঞান প্রয়োজন হয়।
 
∆         পরিকল্পনাটিকে নিজেদের মতো করে গ্রহন করার স্বার্থে
 
∆         ব্যক্তির মতামতের চেয়ে সমষ্টিগত উদ্যোগকে উন্নতি করতে
 
∆         বিরোধীতাকারীদের সনাক্তকরণার্থে
 
∆         সুনাম বৃদ্ধির জন্য
 
 
ষ্টেইকহোল্ডারদের চিহিৃতকরণ :
 
∆         যারা উক্ত কার্যক্রমের ফলে লাভবান হবে এবং কারা ক্ষতিগ্রস্থ হবে।
 
∆         যারা সরাসরি এই কার্যক্রমের সাথে যুক্ত
 
∆         এই কার্যক্রমের ফলে কাদের সম্পৃক্ততা বা প্রভাব থাকবে
 
∆         এই কার্যক্রম সম্পর্কে যার বিশেষ জ্ঞান, অভিজ্ঞতা বা তথ্য জানা আছে
 
∆         কে উক্ত কার্যক্রমের বিরোধীতা করবে বা পক্ষে থাকবে
 
∆         কে উক্ত কার্যক্রমের সাথে নিজের অংশীদারিত্ব রাখতে চায়


ষ্টেইকহোল্ডার মূল্যায়ন :
 
“তখন সদাপ্রভু উত্তর করিয়া আমাকে কহিলেন, এই দর্শনের কথা লিখ, সুষ্পষ্ট করিয়া ফলকে খুদ, যে পাঠ করে, সে যন দৌঁড়িতে পারে”। -হবক্কুক ২:২
 
 
কিছু সময় নিরবে চিন্তা করুন :
 
যদি আপনি যোগ্য কেউ না হয়ে থাকেন তাহলে কেন খোদা তাঁর একমাত্র পুত্র ঈসাকে আপনার জন্য মৃত্যুবরণ করতে পাঠালেন?
 
খোদা আপনার মধ্যে সম্ভাবনা দেখতে পেয়েছেন, আপনি কি সেই লুকায়িত ক্ষমতা ব্যবহার করছেন?
 
 
আপনার লক্ষ্য নির্ধারন করার পরে কি করবেন?
 
 
১.         আপনার লক্ষ্য সহজে কারো সাথে আলোচনা করবেন না।
 
২.         আপনার সফলতার অন্যতম দিক হলো আপনার লক্ষ্যকে মূল্যায়ন করা
 
৩.         ইতিবাচক চিন্তা করুন এবং ইতিবাচক প্রার্থনা করুন
 
৪.         এই প্রশ্ন করুন - “আমার লক্ষ্য কি আমাকে সামনে নিয়ে যাচ্ছে নাকি আরো পিছিয়ে দিচ্ছে?”
 
 
 
 
 
 
সমাপ্ত