Chosen Generation ( মনোনীত প্রজন্ম) দ্বিতীয় বিবরণ ৭:৬ এবং ১ পিতর ২: ৯-১২


Chosen Generation ( g‡bvbxZ cÖRb¥)



দ্বিতীয় বিবরণ ৭:৬ এবং ১ পিতর ২: -১২Top of Form
Bottom of Form
   




. একটি মনোনীত প্রজন্ম
) কে মনোনীত করছেন? খোদা আমাদের বাহির থেকে নিয়ে মনোনীত করেছেন।
) দ্বিতীয় বিবরণ ৭:কেননা তুমি আপন খোদা সদাপ্রভুর পবিত্র প্রজা; ভূতলে যত জাতি আছে, সে সকলের মধ্যে আপনার নিজস্ব প্রজা করবার জন্য তোমার খোদা সদাপ্রভু তোমাকেই মনোনীত করেছেন।
. কে মনোনীত হয়েছে? আমরা (আপনারা) মসীহের প্রজন্ম।
১ পিতর ২:১০ এক সময়ে তোমরা খোদার লোক ছিলে না, কিন্তু এখন হয়েছ!!! এক সময়ে তোমরা দয়া পাওনি, কিন্তু এখন পেয়েছ।
এই জগত থেকে আমাদেরকে আলাদা করা হয়েছে (রোমীয় ১২:)যেন আমরা নিজেকে পাল্টে দিয়ে দুনিয়াকেও পাল্টে দিতে পারি।সেজন্য খোদার ইচ্ছা জানতে হবে। আর তা হলো ভালো, নির্দোষ ও গ্রহণ যোগ্য।

১ পিতর ২:-১২ আয়াত পড়ুল

খোদা যাদেরকে জগত থেকে আলাদা করেছেন সেই খোদার লোকদের জীবন কেমন হবে?

পিতর তার আগে বলেছেন, অবিশ্বাসীরা, ইহুদীরা, মুসলিমরা ঈসাকে বাতিল করে দিয়েছে। তাই তিনি ৮ পদে বলেছেন:

তারপর ৯ পদে তিনি বলেছেন, কিন্তু তোমরা মনোনীত বংশ বা প্রজন্ম।

ঈসাও একই কথা আমাদের জন্য বলেছেন মথি ৫:১৩ তোমরা জগতের লবণআর ১৪ পদে বলেছেন, তোমরা জগতের আলো।

জগতের লোকেরা কি বলে আমরা আলাদা? আমরা ৫টি বিষয় দেখব যা দ্বারা বুঝা যাবে যে আমরা বিশ্বাসীরা জগতের থেকে আলাদা।
. বিশ্বাসীরা আর্শিবাদ প্রাপ্ত লোক
১পিতর :-১০ আয়াত অনুসারে জগতের থেকে আলাদা এমন কি কি আর্শিবাদ সুবিধা আমাদের দিয়েছেন?
পিতর নিজে দুঃখভোগকারী একজন প্রেরিত হিসেবে বলেছেন, দুঃখকষ্ট আমাদেরকে অন্যদের থেকে আলাদা করেছেনতিনি বলেছেন আমরা খোদার কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ কারণ তিনি আমাদেরকে আহ্বান ও মনোনীত করেছেন।
) মনোনীত প্রজন্ম বা বংশ
তিনি তাদেরকে মনোনীত প্রজন্ম বলেছেন। ইস্রায়েল জাতির জন্য দ্বি:বি: :৬ যে কথা ব্যবহার করা হয়েছে তিনিও আমাদের জন্য একই কথা উল্লেখ করেছেন মনোনীত প্রজন্ম বা জাতি।
ইস্রায়েল জাতিকে খোদা জগতে তাঁর মনোনীত জাতি হিসেবে আহ্বান করেছিলেন যেন তাঁর পক্ষে তারা সাক্ষী হয়। একই ভাবে আজ মন্ডলী আমরা তাঁর মনোনীত জাতি। আমাদেরকে মনোনীত করেছেন এজন্য নয় যে আমরা অন্যদের থেকে ভালো কিন্তু আমরা তাঁর আহ্বানে সাড়া দিয়েছি। িএই যে মনোনীত তা সম্পূর্ণভাবে খোদার অনুগ্রহে।
পৌল বলেছেন, ইফিষীয় ১:-

) পবিত্র জাতি

পিতর একই সাথে আমাদের একটি পবিত্র জাতি বলেছেন। হিজরত ১৯:৬ আয়াতে বলেছেন, ইস্রায়েল হলো পবিত্র জাতি। তাদেরকে খোদা আলাদা করেছেন যেন তারা ভালো কাজ করে, তাঁর সেবা করে ও এবাদত করে। একই কারণে খোদা আমাদেরকেও পবিত্র করেছেন। পৌল বলেছেন, ইফিষীয় ২:১০

. বিশ্বাসীরা হলো ধার্মিক বা এবাদতের লোক
যেন অন্ধকার থেকে যিনি তোমাদের তাঁর আশ্চর্য আলোর মধ্যে ডেকে এনেছেন তোমরা তাঁরই গুণগান (এবাদত) কর।১পিতর ২:
আমাদের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব হলো খোদার প্রশংসা ঘোষনা করা। একই কারণে ইস্রায়েল জাতিকেও খোদা মনোনীত করেছিলেন। খোদা হযরত মূসাকে বলেছেন, হিজরত ৯:
মিসর থেকে খোদা ইস্রায়েল জাতিকে ডেকেছেন যেন তারা মরুভূমিতে খোদার এবাদত করে।
অবিশ্বাসীদের বিষয়ে হযরত পৌল বলেছেন, রোমীয় ১:২০-২১
সুতরাং আমরা যেন মনোনীত অমনোনীত জাতিদ্বয়ের মধ্যে উজ্জ্বল তারার মতো থেকে শান্তির পক্ষে কাজ করি ফিলীপীয় : ১৪-১৫
আজ খোদার এবাদত করতে আপনার অবস্থান কেমন? আপনি কি এজন্য ভয় সমস্যা অনুভব করছেন? কিভাবে তা থেকে বেরিয়ে আসবেন?
. বিশ্বাসীরা ঘর থেকে দুরের লোক
বন্ধুরা আমি আপনাদের উৎসাহিত করতে চাই যে, এই জগতে আমরা বিদেশী লোকের মতো। প্রতিনিয়ত আমাদেরকে জগতের নানান অন্যায়, পাপ ইত্যাদির সাথে যুদ্ধ করতে হয়। ১পিতর ২:১১ আয়াত
বিদেশেী ও অপরিচিত লোক হিসেবে আমাদের চিহ্নিত করেছেন। কারণ আসলে এখন যেখানে আমরা বসবাস করছি তা আমাদের আসল বাসস্থান নয়।এটি এভাবেও বলা যায় যে, আমরা হজ্ব বা তীর্থযাত্রী।
আরেকটা কারণে এটি আমাদের আসল ঘর নয়। কারণ আমরা অন্যদের থেকে আলাদা। তারা যেভাবে এ জগত নিয়ে চিন্তা করে বা জগতকে দেখে আমরা সেভাবে দেখি না্। কারণ এটি আমাদের আসল ঘর নয়। তাই আমাদের সাথে জগতের মানুষের সাথে পার্থক্য রয়েছে।
তাহলে একজন বিশ্বাসীর জীবনে কি কি আলাদা চিহ্ন রয়েছে?
হযরত ঈসা বলেছেন, মথি : ৩১-৩২
হযরত পৌল বলেছেন, ১তীমথিয় :-
হযরত পিতর আবার বলেছেন, ১পিতর :-
হযরত পৌল আবার বলেছেন, রোমীয় ১২:
বিশ্বাসীরা অন্যদের থেকে আলাদা কারণ আমরা খোদার উপরে আশা রাখি। আমাদের দৃষ্টি খোদার দিকে। আমরা খোদার মতো চিন্তা করি। আমরা হৃদয়ের সৌন্দর্য দেখি।খোদা আমাদের হৃদয় দেখেন ১ শমূয়েল ১৬:
প্রত্যেকে এই জগতে ধনী থাকতে চায়, সন্মান পেতে চায়। যখন তারা পায় না তার জন্য তারা প্রত্যেকের সাথে যুদ্ধ করে এবং অভিযুক্ত করে। সেজন্য বিশ্বাসী হিসেবে আমাদের মনে রাখতে হবে এটি আমাদের আসল ঘর নয়, এখানে আমরা অল্প কিছুদিন অতিবাহিত করছি মাত্র। তাই আমরা অন্যদের থেকে আলাদা। সেজন্য এই জগতের অবহেলা, অত্যাচার, নির্যাতন আমাদের গ্রহণ করতে হবে।
. বিশ্বাসীরা হলো যুদ্ধরত মানুষ
বন্ধুরা আমি আপনাদের উৎসাহিত করতে চাই যে, এই জগতে আমরা বিদেশী লোকের মতো। প্রতিনিয়ত আমাদেরকে জগতের নানান অন্যায়, পাপ ইত্যাদির সাথে যুদ্ধ করতে হয়। ১পিতর ২:১১ আয়াত
একজন বিদেশী ও অপরিচিত লোক হিসেবে আমরা এই প্রতিনিয়ত যুদ্ধে আছি বলেই আমরা আলাদা। অনেক সময় আমরা মনে করি, ঈসায়ী বা খ্রীষ্টিয়ান হলে এবঙ প্রচার কাজে যুক্ত হলে আমরা অনেক ধনী হবো, উন্নত জীবন পাব। অনেকের ক্ষেত্রে তা সত্য হতেও পারে। কিন্তু বেশীর ভাগ বিশ্বাসীদের জীবন মসীহকে অনুসরণ করতে গিয়ে অনেক কঠিন সময় মোকাবেলা করতে হয়।
আমাদের জীবন কঠিন কারণ আমরা একটি যুদ্ধে প্রবেশ করেছি। শুধু আধ্যাত্মিক যুদ্ধ নয় কিন্তু প্রতিদিন অনেক কিছুর জন্য আমরা মনের সাথে যুদ্ধ করছি। হযরত পৌল এইভাবে তা বর্ণনা করেছেন রোমীয় ৭: ১৫-২৩ (আমার, আমি) পৌল অন্তর আত্মার সাথে যুদ্ধে আছে।
হযরত দাউদ তাঁর যুদ্ধে থাকার বিষয় বলেছেন, গীত ৪২:  অনেক জায়গায় তিনি বলেছেন কিভাবে তিনি যুদ্ধ করছেন এবং খোদার উপর বিশ্বাস রাখছেন।
বিশ্বাসী হিসেবে জগতের আসক্তির বিরুদ্ধে আমরা যুদ্ধ করছি। পৌল বলেছেন গালাতীয় ৫:১৭
তাই পৌল বলেছেন, গালাতীয় ৫ : ১৬
কিভাবে আমরা এই যুদ্ধে বিজয়ী হবো- পবিত্র আত্মার সাথে বসবাস করে।
দুইটি কুকুর যখন যুদ্ধ করে কোনটি জিতে? যেটাকে আপনি খাবার দিয়ে থাকেন।
একই ভাবে যদি আমরা আমাদের নুতন আত্মাকে খাবার দিই খোদার কালাম পাঠে, প্রার্থনায়, ছোট দলে সহভাগিতায়, জামাতে বা মন্ডলীতে অংশগ্রহণ করি, তখন দেখবেন আপনার পবিত্র আত্মা মন্দ আত্মার উপর কর্তৃত্ব করতে শুরু করেছেন।
আর যদি আমরা জগতের খাওয়া-পরা নিয়ে ব্যস্ত থাকি তাহলে মন্দ আত্মা কর্তৃত্ব করতে থাকবে।
আপনাকে কোনভাবে খোদা আহ্বান করেছেন যেন আপনি তাঁর মনোনীত প্রজন্ম/বংশ হতে পারেন? আপনার পরিকল্পনা কি যাতে পবিত্র আত্মা আপনার ঘর হয়?
. বিশ্বাসীরা হলো সুন্দর মানুষ
যদিও জগতের মানুষ আপনাকে ভুল বা অন্যায় করছেন বলে অভিযুক্ত করে থাকে, তবুও যখন আপনার ভাল কাজ দেখবে তখন তারা আপনার কাছে এসে খোদার গৌরব করবে।১পিতর ২:১২
এখানে পিতর বলছেন, এই মনোনীত প্রজন্ম, বিদেশী বা অপরিচিত মানুষগুলো এবং ন্যায়ের পক্ষের ‍যুদ্ধা হিসাবে যখন জগতের লোকেরা আপনার সাথে দেখা করতে আসবে তখন তারা খোদার গৌরব করবে।
সৎভাবে চলা মানে সুন্দরভাবে চলা। পিতর বলেছেন, খ্রীষ্টিয়ান/ঈসায়ীরা যদিও নির্যাতিত, অবহেলিত, ঘৃণিত তাদের বিশ্বাসের জন্য তখন আমাদের সুন্দর জীবনকে প্রদর্শন করতে হবে। যা একদিন অবিশ্বাসীদেরকে অনুপ্রাণিত করবে খোদার গৌরব করতে।
অবিশ্বাসীরা খোদার গৌরব করবে এর মানে কি?
এটাই হতে পারে ২টি মানে আছে
হয়ত, প্রথমত শেষ বিচারের দিন বিশ্বাসীদের বিশ্বাসীদের অবস্তান দেখে তাদের কাজের বিষয় স্মরণ করে তারা খোদার গৌরব করবে
হয়ত, তারা যখন মসীহের উপর ঈমান আনবে তখন তারা বিশ্বাসীদের জীবন দেখে খোদার গৌরব করবে
সেজন্য হয়তো হযরত পিতর পরের অধ্যায়ে স্ত্রী সম্পর্কে বলেছেন, ১ পিতর ৩: -
এজন্য খোদা আপনাকে মনোনীত করেছেন। মসীহ কষ্টভোগ করেছিলেন আর আমরাও যেন সেই কষ্টভোগের ভাগি হই। ১পিতর ২:২১-২৩
যখন মসীহ কষ্টভোগ করেছিলেন তখন তিনি পাপ করেননি। তিনি তখন মিথ্যা বলেন নি, প্রতারণা করেননি। যখন তাঁকে অপমান করেছেন তখন তিনি প্রতিহিংসা পরায়ণ হন নি। তিনি তাদের হুমকি দেন নি বরং খোদার হাতে ছেড়ে দিয়েছেন।
মসীহের সুন্দর জীবন ছিল। আর পিতর বলছেন, এই একটি জিনিষ আমাদেরকে জগত থেকে আলাদা করতে পারে তা হলো সুন্দর জীবন। আমি বিশ্বাস করি যখন আপনি নির্যাতিত হবে বা মিথ্যা দোষারোপিত হবে তখন আপনার সুন্দর জীবন আলো হিসেবে জ্বলবে। হযরত ঈসাও একই কথা বলেছেন মথি ৫ : ৪৩-৪৫
যখন আপনার সাথে অন্যায় করা হয় তখন কি আপনি রাগ করেন, অভিশাপ দেন, অভিযোগ করেন? না কি অভিযোগ না করে, ঘৃণা না করে নিজেকে নম্র করে খোদার উপর আশা রেখে সুন্দর জীবন দেখিয়ে তার প্রতিত্তোর দেন?
এর মাধ্যমে একজন বিশ্বাসীর জীবন চিহ্নিত হবে। আমি নিজে অনেকবার নেগেটিভ পথে চলতে প্রলোভিত হয়েছি। কিন্তু আমি শিখেছি কিভাবে পজেটিভ ভাবে সবকিছু মোকাবেলা করতে হয়।
কিভাবে আমরা উত্তমভাবে সুন্দর জীবন অধ্যবসায় করতে পারি?
উপসংহার
জগত থেকে আলাদা করতে একজন বিশ্বাসীর জীবনে কি চারিত্রীক বৈশিষ্ট্য থাকতে হবে?
1.       বিশ্বাসীরা আর্শিবাদ প্রাপ্ত লোকতারা পবিত্র লোকতারা খোদার নিজের লোক এবেং তারা দয়া অনুগ্রহ পাওয়া লোক
2.       বিশ্বাসীরা হলো ধার্মিক বা এবাদতের লোক
3.       বিশ্বাসীরা ঘর থেকে দুরের লোকযারা খোদার রাজ্যে প্রবেশের চেষ্টা করছে অপেক্ষ করছে
4.       বিশ্বাসীরা হলো যুদ্ধরত মানুষ- মাংসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে যাচ্ছে
5.       বিশ্বাসীরা হলো সুন্দর মানুষ যখন তারা দুঃখ-কষ্ট এর মধ্যেও যায়
আপনার জীবনকে পুনরায় নুতনভাবে পরিচালিত করতে কোন বিষয়টির জন্য বিশেষভাবে খোদা আহ্বান করেছেন? তা করার জন্য আপনার পরিকল্পনা কি?