BAPTISM || তরিকাবন্দি

“সমাস” পত্রিকার ইস্টার ও নববর্ষ সংখ্যা ২০০৯ এ শ্রদ্ধেয় ড. ডেনিস দিলীপ দত্ত কর্তৃক লেখা ‘বাপ্তিস্ম’ কোত্থেকে এলো? থিওলজিক্যাল প্রবন্ধটি পাঠ করে এ বিষয়ে লেখার আগ্রহ পেলাম। তাঁর সুচিন্তিত মতামত ও সমৃদ্ধশালি লিখনির জন্য লেখককে ধন্যবাদ জানাই। উক্ত লেখায় ইতিহাস সম্পর্কে লিখতে গিয়ে উল্লেখ করা হয়েছে পুরাতন ও নূতন নিয়মের মাঝখানের ব্যবধান ৩ ’শ বছর, যা আমার জানা মতে হবে প্রায় ৪ ’শ বছর। তাছাড়া এফিক্রফার বিশ্বাস সম্পর্কে রোমান ক্যাথলিক ও চার্চ অব বাংলাদেশ এর বিশ্বাস একটু পার্থক্য রয়েছে। চার্চ অব বাংলাদেশ মধ্যবর্তী সময়ের এফিক্রফার ঐতিহাসিক ঘটনাবলীর বিশ্বাসী কিন্তু তা বাইবেলের অংশ বা ৭২/৭৩ পুস্তক সম্বলিত বাইবেল সেরকম বিশ্বাস তারা করেন না।

আমি কৃতজ্ঞ হবো যদি বাপ্তিস্ম সম্পর্কে আমার থিওলজিক্যাল লেখাটি কর্তৃপক্ষ প্রকাশ করেন। তবে আমি বাপ্তিস্মকে তরিকাবন্দি হিসেবে উল্লেখ করেছি, যেহেতু বর্তমানে অনেকে এই শব্দটি ব্যবহার করছেন।


তরিকাবন্দির গ্রীক অর্থ :

βαπτίζω (baptízô), যার অর্থ হলো পানির মাধ্যমে পবিত্রীকৃত হওয়া। ইঞ্জিল শরীফে দু’টি আয়াত এই বিষয়ে উল্লেখযোগ্য।

প্রথমতঃ পানিতে নিমজ্জিত হযে একজন রোক পরিস্কৃত হয় - লুক ১১ : ৩৮। অর্থাৎ ঈসা খাবার আগে নিজেকে গোসল করে পরিস্কৃত করেনি বলে ফরীশীরা দোষারূপ করলেন।

দ্বিতীয়তঃ সাধারণ অর্থে পানি দ্বারা ধৌত হওয়া। (νίπτω, the ordinary word for washing).

সুতরাং তরিকাবন্দিও ক্ষেত্রে যে শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে তাহলো (βαπτίζω (baptízô), যার বাংলা তাৎপর্য গোসল করা বা পানিতে নিমজ্জিত হওয়া।

ইহুদী ধর্মীয় তাৎপর্য :
গরশাধয (ড়ৎ সরশাবয) যা হিব্র“ ভাষায়: מִקְוָה,Miqwāh; যার অর্থ হলো ইহুদী ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পানিতে নিমজ্জিত হওয়া। যার শাব্দিক অর্থ হল পানি সংগ্রহ কওে রাখা ধর্মীয় কাজে। যারা দ্বারা ধর্মীয়ভাবে মানুষ পরিস্কৃত হবে (শুমারী ১৯ রুকু)।


প্রেরিত বা সাহাবীদের সমকালীন :

১ম শতাব্দীতে :

♦         পৃথিবীতে ঈসার জীবিতকালীন সময়ে ইয়াহিয়া নবী জর্দন নদীতে তরিকাবন্দি দিয়েছিলেন। মথি ৩:৬-১৬; মার্ক ১:৪-১১; লুক ৩ : ৩-২৩; ইউহোন্না ১ : ২৫ - ৩৩; ১০:৪০।

♦         পৃথিবীতে ঈসার জীবিত থাকাকালীন সময়ে তিনি নিজে একাজ না কররেও তাঁর সাহাবীগন তরিকাবন্দি দিয়েছিলেন (ইউহোন্না ৩:২২-৪:২)

♦         পঞ্চশত্তমীর দিনে একদিনে ৩০০০ মানুষ তরিকাবন্দি নিয়েছিলেন। প্রেরিত ২:৪১

♦          শমরিয় পুরু ও মহিলাগন তরিকাবন্দি গ্রহন করেন। প্রেরিত ৮:১২-১৩

♦         ইথয়পিয় নপুংশক। প্রেরিত ৮ : ৩৬ - ৪০

♦         শৌল, যিনি পরবর্তীতে হযরত পৌল । প্রেরিত ৯ : ১৮; ২২ : ১৬

♦         কর্ণেলীয় পরিবারস্থ লোকেরা । প্রেরিত ১০ : ৪৭ - ৪৮

♦         লাদিয়ার পরিবারস্থ লোকেরা। প্রেরিত ১৬ : ১৫

♦         ফিলিপ্পী জেলারের পরিবারস্থ। প্রেরিত ১৬ : ৩৩

♦         করিন্থীয় অনেক লোক । প্রেরিত ১৮:৮

♦         কিছু করিন্থীয় লোক হযরত পৌল কর্তৃক তরিকাবন্দি হয়েছিলেন। ১করিন্থীয় ১: ১৪-১৬


সুতরাং প্রেরিতেরা কিভাবে তরিকাবন্দি দিয়েছেন তা নিয়ে অনেক মতভেদ রয়েছে। যদিও ফিলীপ নপুংশককে যে তরিকাবন্দি দিয়েছেন (প্রেরিত ৮ : ৩১-৪০) তাতে একটি ছবি পাওয়া যায়। এয়াড়া অন্য আর কোনভাবে দেয়া হয়েছিল কি না, যেমন- ছিটিয়ে, ঝর্ণার নিচে দাঁড়িয়ে, মগ দিয়ে ঢেলে না ডুবিয়ে, না কি অন্য কোন উপায়ে এর কোন ষ্পষ্টতা নেই।

♦         কেউ বলেছেন, (প্রেরিত ৮ : ২৬ এবঙ ৮ : ৩৬ - ৩৮) তরিকাবন্দি যে জর্দন নদী ও মরুভূমিতে দেযা হয়েছিল তা কি আসলে নিমজ্জিত করা হয়েছিল না কি ছিটিয়ে দেয়া হয়েছিল তা নিয়ে বিতর্ক আছে।

♦         আবার অনেকে বলছেন, রোমীয় ৬ : ৩-৪ আয়াত অনুসাওে তরিকাবন্দিও মাধ্যমে মসীহের মৃত্যুর প্রচার করা হয় এবং তিনি যে কবরস্থ হবার একটি প্রতীকী চিহৃ হল তরিকাবন্দি। একইভাবে কলসীয় ২ : ১২ অনুসারে মৃত্যু থেকে পুনরূত্থীত হবার চিহৃ হিসেবেও ব্যবহৃত হয়।

♦         আবার কেউ কেউ বলে থাকে ইউহোন্না ৩ : ৩থ-৫ আয়াতে যে নুতন জন্মেও কথা বলা হয়েছে এর অর্থ হল পানিতে ডুবে এবং উঠে এসে পানিতে নুতন জন্ম নিতে হবে।
তবে অনেক পন্ডিত ব্যক্তিবর্গ মনে করেন যে, প্রথম জামাতে তরিকাবন্দি পানিতে ডুবিয়ে প্রদান করা হয়েছিল। যদিও তা নিয়ে এষনও বির্তক চলে আসছে। যদি বিশেষ কোন পরিস্থিতে যেমন ৩০০০ লোক, ভুমিকম্পের মধ্যে রাত্রে ফিলিপ্পী কারারক্ষীর পরিবার তাৎক্ষণিক তরিকাবন্দি নিলেন তখন তা কিভাবে নিলেন?
সুতরাং যদিও বা সকলে একমত পানিতে ডুবিয়ে তরিকা দেবার বিষয়ে কিন্তু অন্যান্য পদ্বতি গুলোকেও একেবারে বাদ দেয়া হয় নি।

“১২ সাহাবীদের শিক্ষা” বইয়ে যা ১০০ বছর আগে লেখা হয়েছিল, সেখানে কিছু পন্ডিত ব্যক্তি এই মন্থব্য করেছেন, "Concerning baptism, baptize this way: Having first said all these things, baptize into the name of the Father, and of the Son, and of the Holy Spirit, in living water [that is, in running water, as in a river]. But if you have no living water, baptize into other water; and if you cannot do so in cold water, do so in warm. But if you have neither, pour out water three times upon the head into the name of Father and Son and Holy Spirit."


প্রথম ঈসায়ীগন :

সাধারণভাবে সকওে একমত যে, প্রথম ঈসায়ীগন পানিতে ডুবিয়ে তরিকাবন্দি দিতেন। তবে তৃতীয় শতাব্দীতে সাধু সাইপ্রেরিয়ান (Saint Cyprian) (উত্তর আমেরিকায় তৃতীয় শতাব্দীতে জন্মগ্রহন করেন এবং ২৫৮ সালে ১৪ সেপ্টেম্বর মৃত্যু হয়) মতবাদ দিলেন, অসুস্থ ও বৃদ্ধ লোককে পানিতে ডুবিয়ে তরিকাবন্দি দিতে অনেক সময় সম্ভব হয় না, তখন Ò Baptism of the Sick”  নিয়ম চালু করেন। অর্থাৎ তাদেরকে অন্য যে কোনভাবে তরিকাবন্দি দেয়া যেতে পারে।


মধ্য সময়ে :
১২০০ - ১৬০০ শতকে পূর্ব ও পশ্চিম ইউরোপে পানিতে ডুবিয়ে তরিকাবন্দি দেয়া ছাড়াও তারা অন্যান্য পদ্বতিও চালু করেন, যা পানি ৩ বার ছিড়িয়ে দেয়া, ঢেলে দেয়া ইত্যাদি।


সংস্কার আন্দোলনের সময়ে :
বিশেষভাবে জন কেলভিন (১৫০৯ - ১৫৬৪)। তিনি ছিলেন ফ্রান্স প্রোটেষ্ট্যান্ট ধর্মতত্ত্ববিদ। তার সময়ে প্রচলিত হল পাপ মোচনের জন্য পানিতে ডুবে তরিকাবন্দি নিতে হবে (প্রেরিত ২ : ৩৮) এবং তরিকাবন্দিও মাধ্যমে কবরস্থ হওয়া (রোমীয় ৬:৪) এবং (কলসিয় ২ : ১২) যার জন্য পবিত্র আত্মা পাবার আবশ্যক প্রয়োজনীয়তা নেই।


বর্তমান সময়ে তরিকাবন্দি :
বর্তমান সময়ে তরিকাবন্দিকে মসীহের মৃত্যু, কবরপ্রাপ্ত ও পুনরুত্থানের প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করে পানিতে ডুবানো পদ্বতি ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে তিনটি বিষয় এখানে উল্লেখযোগ্য :

১)         তরিকাবন্দির পদ্বতি ও পানির প্রয়োজনীয়তা

২)         কারা তরিকাবন্দি নিতে পারবে

৩)         তরিকাবন্দির ফল ও অর্থ
উক্ত তিনটি বিষয়ে আমাদের স্পষ্ট ধারণা থাকতে হবে। আসুন বিষয়গুলো নিয়ে আমরা আরো বিস্তারিত আলোচনা করি :


১.    তরিকাবন্দির পদ্বতি ও পানির প্রয়োজনীয়তা :
বর্তমান সময়ে খ্রীষ্টিয়ান ডিনোমিনেশন গুলোতে অনেক ধরনের পদ্বতি ব্যবহার করা হচ্ছে। কিন্তু তারমধ্যে তিনটি মূল পদ্বতি অনুসরণ করছে যা হলো :
ক) পানি ছিটিয়ে দেয়া (Aspersion) :

পানি মাথায় ছিটিয়ে দেয়াকে বুঝায়। পানিকে পূর্ব থেকে প্রার্থনায় পবিত্র করে রাখা হয়। তারা বলেন, জীবন্ত পানির দ্বারা পিতা, পুত্র ও পাক-রূহের নামে তরিকাবন্দি দেয়া হয়। তবে পবিত্র পানি না থাকলে অন্য পানি দিয়েও তা করা যেতে পারে।

খ) পানি ঢেলে দেয়া (Effusion) :

পানি মাথার উপর ঢেলে দেয়া। এর অথৃ বুঝানো হয়, মসেিহর রক্তে পাপ থেকে সে ধৌত হচ্ছে এবং মসীহের মৃত্যু ও পুনরুত্থানের সাথে একীভূত হচ্ছে। তারা মনে করে পানি ঢেলে দেয়াটাই আইন সম্মত পদ্বতি। তারা শিশুদের তরিকাবন্দিতে বিশ্বাস করে। তবে তিনবার পিতা, পুত্র ও পাক-রূহের নামে মাথায় পানি ঢেলে দিতে হবে (প্রেরিত ২:১৭, ১৮; ১০:৪৫)।

গ) সর্বাঙ্গ ডুবিয়ে দেয়া (Immersion) :

অর্থাৎ সমস্ত শরীরি পানিতে ডুবিয়ে তরিকাবন্দি প্রদান করা। তারাও হৃদয় দিযে বিশ্বাস করে যে মসীহ তাদের গুনাহের জন্য মৃত্যুবরন করেছেন এবং পুনরুত্থিত হয়েছেন এবং খোদার বাধ্যতায় পাপ ক্ষমা হয়েছে এবং পাক-রূহ তার মধ্যে বাস করবেন (মার্ক ১৬:১৬; রোমীয় ৬:১৭; ১ পিতর ৪:১৭; প্রেরিত ৫:৩২)। সাথে সাথে বিশ্বাস করে যে, মসীহ যেভাবে মৃত্রু থেকে জীবিত হযেছেন, সেভাবে শেষ দিনে তার দেহও জীবিত হবে (রোমীয় ৮ : ৯-১১); এবং তারা এও বিশ্বাস করে যে, (রোমীয় ৬ : ২-১৩; ও কলসীয় ২ : ১২-১৩)। এ ছাড়া তরিকাবন্দির মাধ্যমে নতুন জন্মের বিষয়ে বিশ্বাস করে (ইউহোন্না ৩ ৩-৫)। তারা আরো বিশ্বাস করে যে, খোদার ওয়াদা অনুযায়ী তারা সীরমোহরকৃত হয়েছেন (২ করিন্থীয় ১:২২ ও ইফিষীয় ১ : ১৩)।


২.    কারা তরিকাবন্দি নিতে পারবে?

ক)         কোন শিশু বা ছেলেমেয়েদের তরিকাবন্দি নিতে পারে না, কারণ সেই তরিকাবন্দি নিতে পারবে যে, নিজের বিষয়ে সচেতন এবং ভাল-মন্দ বুঝে। তাছাড়া নিজে বুঝে ঈসায়ী হয়েছে ও ঈসাকে প্রভু বলে গ্রহন করেছে।


৩.    তরিকাবন্দির ফল ও অর্থ :

ক)         পানিতে তরিকাবন্দি হলো ঈমানদারদের একটি বাধ্যতার কাজ। এটি অবশ্যই অনুতাপের মাধ্যমে যেতে হবে, যার সরল অর্থ পরিবর্তন। এটি আমাদেরকে পাপ এবং আত্ম অহংকার থেকে ফিরিয়ে প্রভুর সেবার দিকে পরিচালিত করে। এটির অর্থ আমাদের অতীত, গর্ব এবং আমাদের সমস্ত মন্দতা প্রভুর কাছে রেখে দিচ্ছি। (প্রেরিত ২ : ৩৮ ও ৪১)।

খ)         পানিতে তরিকাবন্দি হলে উপস্থিত জনগনের কাছে সাক্ষ্য বহন করা - অর্থাৎ বাহ্যিকভাবে স্বীকার করা এবং হৃদয়ে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করা।

গ)         পানিতে তরিকাবন্দি হলো আধ্যাত্মিক সত্যের একটি ছবি

ঘ)         মৃত্যু - গালাতীয় ২:২০; পুনরুত্থান - রোমীয় ৬ : ৪-৫; ১০-১৩; পরিস্কৃত হওয়া - ১ পিতর ৩ : ২১; ১করিঃ ৬:১১




তরিকাবন্দি কেন পানিতে ডুবিয়ে দেয়া :

♦         ঈসা মসীহ নিজে পানিতে ডুবে তরিকাবন্দি নিয়েছেন।

♦         সাহাবীরা পানিতে ডুবে তরিকাবন্দি নিয়েছেন।

♦         পানিতে ডুবে তরিকাবন্দি নেয়ার মাধ্যমে আমরা মসীহের মৃত্যু ও পুনরুত্থানকে প্রকাশ্যে স্বীকার করছি।

♦         প্রকাশ্যে সমাজের সামনে বিশ্বাসকে স্বীকার করা।



বিভিন্ন ডিনোমিনেশনে ব্যবহৃত পদ্বতি :
ডিনোমিনেশনসতরিকাবন্দি সম্পর্কে বিশ্বাসকোন ধরনের পদ্বতিশিশু তরিকাবন্দিতরিকাবন্দির মাধ্যমে পুনঃজন্ম ও আধ্যাত্মিক জীবন লাভঅবস্থানগত
 এ্যাংলিক্যান চার্চ (চার্চ অব বাংলাদেশ) ধর্ম বিশ্বাসের প্রকাশ্য ঘোষনার চিহৃ এবং পৃথক হবার চিহৃ; দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে যে, একজন বিশ্বাসী বিশ্বাসের মাধ্যমে ক্ষমা লাভ করে। পানিতে ডুবিয়ে বা ঢেলে (উভয়টি) হ্যাঁহ্যাঁ (সিডনির ডাইওসিস ব্যতিত) ত্রিত্ববাদ
 ব্যাপ্টিষ্টএকটি বেহেস্তী আদেশ; একটি ধর্মীয় প্রতীক; জনগনের মাঝে একই বিশ্বাসের ঘোষনা; নাজাত যে পেয়েছে তার একটি চিহৃ কিন্তু তা নাজাত পাবার জন্য নয়।শুধুমাত্র পানিতে ডুবিয়ে না না ত্রিত্ববাদ
 চার্চ অব ক্রাইষ্ট (খ্রীষ্ট মন্ডলী) যীশুর আদেশ অনুযায়ী নাজাতের জন্য তরিকাবন্দি অবশ্যই নিতে হবে (মার্ক ১৬:১৬; মথি ২৮:১৯)। পাপের ক্ষমা, আত্মার দান এবং মন্ডলীর সাথে সংযুক্ত হওয়া (প্রেরিত ২ : ৩৮-৩৯)। শুধুমাত্র পানিতে ডুবিয়ে নাহ্যাঁ ত্রিত্বাবাদ
 যিহোবা উইটনেস(Jehovah's Witnesses) সমস্ত বাপ্তিস্ম অনুষ্ঠান পরিত্রানের জন্য প্রয়োজন। যীশুর আদেশের বাধ্যতার প্রকাশ (মথি ২৮ : ১৯-২০)। যীশুর মূল্যদ্বারা কৃত হয়ে নাজাত পেয়েছে তার একটি চিহৃ (রোমীয় ১০ : ১০)। পাপময় কাজ থেকে অনুতাপ করেছে তার প্রকাশ এবং যিহিাবাতে জীবন উৎসর্গের জন্য উৎসর্গীকৃত (১ পিতর ২: ২১)। আবার এও বিশ্বাস করে যে, বাপ্তিষ্ম পরিত্রানের নিশ্চয়তা দিতে পারে না। না হ্যাঁশুধুমাত্র পানিতে ডুবিয়ে যীশু
 লুথারেন তরিকাবন্দি হলো, খোদা কিভাবে একজনকে তাঁর দয়ায় পাপ, মৃত্যু ও মন্দতা থেকে বের করে নতুন জন্ম দিলেন এবং একজন অনন্তকালের জন্য খ্রীষ্টের রাজ্যের অর্ন্তভুক্ত করলেন তার প্রতীক (তীত ৩ : ৫)। হ্যাঁ হ্যাঁউপরের তিনটি পদ্বতিই ব্যবহার করে ত্রিত্ববাদ


তরিকাবন্দির বিষয়ে কয়েকটি মৌলিক প্রশ্ন :

১.কেন একজন ঈসায়ী তরিকাবন্দি গ্রহন করবেন?

উত্তর : তরিকাবন্দি হলো মানুষের সামনে বিশ্বাসকে স্বীকার করা। এটি হলো জগতকে জানানো যে, আমি একজন ঈসায়ী।

২.খোদার আইন অনুযায়ী জামাতের বা সমাজের সদস্য হতে পারেন কে?

উত্তর : শুধুমাত্র যারা কোদার আইনের উপর ঈমান এনেছেন তারা।

৩.তরিকাবন্দি আসলে কি ধরনের প্রতীকীর প্রকাশ?

উত্তর : এটি প্রতীক হিসেবে কাজ করে যে, তিনি ব্যক্তিগতভাবে মসীহের রক্তে ধৌত হয়ে পাপ থেকে পবীত্রীকৃত হয়েছেন।

৪.তরিকাবন্দি কি শুধুমাত্র প্রতীকী হিসেবে কাজ করে, না কি এটি কোদার অনুগ্রহও পাবার একটি মাধ্যম (আধ্যাত্মিক ক্ষমা ও রহমত)?

উত্তর : সত্যিকার অর্থে এটি একটি প্রতীক এবং সাথে সাথে এর মাধ্যমে তাঁর রহমতও পাওয়া যাবে।


ইসলামে ধৌত হওয়ার ধর্মীয় আইন :

ইসলামে ধৌত হবার বিষয়ে যে অনুমোদন দান করেছে তা হলো গোসল (যার অর্থ হলো ধৌত হওয়া) যা বিশেষভাবে সম্পূর্ণ দেহকে পানিতে ডুবানো। এই গোসল সেই সমস্ত প্রাপ্ত বয়স্ককে দেয়া হয় যে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করে, যৌন মিলন হবার পর, স্বপ্নদোষ হবার পর অথবা মহিলাদের ঋতুস্রাব শেষ হবার পর। তাছাড়াও মৃতদেহকেও গোসর করে পাক-পবিত্র করা হয়।

প্রতি ওয়াক্ত নামাজের সময় ওজু করে পরিস্কৃত হতে হয় যেন নামাজ কবুল হয়। মুসলমানেরা বিশ্বাস করে যে, নামাজ পড়তে যাবার আগে তার গুনাহের জন্য খোদার কাছে ক্ষমা চেয়ে তারপর তাকে নামাজ পড়তে যেতে হবে। প্রতি ওয়াক্ত নামাজের আগে ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃত গুনাহের জন্য ধৌত হবার মাধ্যমে খোদার কাছে ক্ষমা চেয়ে তারপর নামাজ পড়তে যায়।