গুনাহ্, নাজাত ও নাজাতের নিশ্চয়তা 

গুনাহ্, নাজাত ও নাজাতের নিশ্চয়তা 

 
ইমাম আবদুল মাবুদ চৌধুরী
 
 
 
 
গুনাহ্ সম্পর্কে জানতে হলে প্রথমে আমাদের জানতে হবে খোদা কেন মানুষ সৃষ্টি করেছিলেন।
 
৭টি নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যে খোদা মানুষ সৃষ্টি করেছিলেন। যথাঃ
 
 
১.         খোদার সৃষ্টির অংশীদার হওয়া ও তা ভোগ করার জন্য (পয়দায়েশ ১ : ২৯-৩০ আয়াত)
২.         খোদার ছুরত রক্ষা করার জন্য (পয়দায়েশ ১ : ২৭ ও ২ : ৭ আয়াত)
৩.         মানুষ যেন স্বাধীনভাবে নিজেকে প্রকাশ ও চিন্তা করতে পারে
৪.         মানুষ যেন খোদার বিষয়ে চিন্তা করে এবং তাঁর সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে
৫.         মানুষ যেন খোদার সৃষ্টির উদ্দেশ্য সাধনে তাঁর সংগে সহযোগিতা করে (পয়দায়েশ ১ : ২৮ আয়াত)
৬.         মানুষ যেন খোদার সৃষ্টির তত্ত্বাবধান করে
৭.         মানুষ যেন খোদাকে মহব্বত করে (খোদা যেমন মানুষকে মহব্বত করেন তেমনি মানুষও যেন তাঁকে মহ্ববত করে) (পয়দায়েশ
৩ : ৮; ইফিষিয় ৫ : ২৫ - ৩১ আয়াত)।
 
 
খোদা নিয়ন্ত্রন করার জন্য অথবা জোরপূর্ব্বক নিজের উদ্দেশ্য সাধনে ব্যবহার করার জন্য মানুষকে সৃষ্টি করেননি। মানুষকে স্বাধীন ইচ্ছা দিয়ে তিনি সৃষ্টি করেছেন; যা দিয়ে সে খোদার পথ মনোনীত করতে পারেন। সৃষ্টির প্রথমে মানুষ খোদার সংগে এক অনন্য সম্পর্ক উপভোগ করত। এই সম্পর্ক সম্ভব করার জন্য খোদা তাঁর নিজস্ব স্বাধীনতার কিছু অংশ মানুষকে দিলেন। নিজস্ব অধিকারে একজন স্বাধীন মানুষ রূপে পরিচিত হওয়া ছিল মানুষের জন্য খোদার একটি দান। মানুষের মধ্যে খোদার মনের মত লোক হওয়ার সম্ভবনা যতটুকু আছে, ঠিক তেমনি খোদার বিরুদ্ধে যাবার সম্ভবনাও আছে। আর তাই খোদার বিরুদ্ধে যাবার মত দুঃসাহস মানুষের হয়ে থাকে।
 
খোদা মানুষকে যতটুকু স্বাধীনতা দিয়েছেন তারচেয়ে বেশী স্বাধীনতার আকাংখা করাই ছিল গুনাহের সূচনা। খোদা মানুষকে যেভাবে সৃষ্টি করেছিলেন, তার চেয়ে বেশী কিছু হবার জন্য শয়তান মানুষকে প্রলোভিত করলো। আর মানুষ খোদার সীমা ছাড়িয়ে যাবার জন্য খোদাকে সন্দেহ করলো এবং অবাধ্য হয়ে গুনাহ করলো (পয়দায়েশ ৩ : ১-১৩ আয়াত)।
 
 
এই ঘটনার ফলে তিনটি বিষয় হলো :
 
১.         খোদা মানুষকে যে উদ্দেশ্যে সৃষ্টি করেছিলেন সেই উদ্দেশ্য বাঁধাগ্রস্থ হলো
২.         মৃত্যু পৃথিবীতে প্রবেশ করল
৩.         খোদার সাথে মানুষের সর্ম্পক ছিন্ন হলো।
 
গুনাহের সাথে সাথে মানুষের জীবনে তিনটি খারাপ ফল দেখা দিল। যথাঃ
 
১.         মানুষ তাঁর স্বাধীনতা হারাল
২.         মানুষ শয়তানের অধীনে চলে গেল
৩.         খোদার সাথে সম্পর্ক হারিয়ে শয়তান ও তার ইচ্ছার গোলাম হলো।
 
 
খোদা মানুষকে তিনটি বিষয় দিয়ে সৃষ্টি করেছেন। (২ বিবরণ ৬ : ৫ আয়াত) যথা :
 
১.         দেহ (Body)
 
২.         মন/প্রাণ (Soul)
 
৩.         রূহ (Spirit)
 
 
১.         দেহ (Body) : এই অংশটি হচ্ছে দৈহিক ও ক্ষণস্থায়ী। এটি মাটি দ্বারা সৃষ্টি হয়েছিল এবং মাটিতেই ফিরে যাবে (পয়দায়েশ ২ : ৭; ৩ : ৯ আয়াত)। এই দেহ ক্ষয়ণীয় এবং মরণশীল (১ করিন্থীয় ১৫ : ৫৩ আয়াত)। এই দেহের মধ্যে ৫টি ইন্দ্রিয় রয়েছে। যথা- চোখ, কান, নাক, জিহ্বা ও ত্বক। এই ইন্দ্রিয়গুলি জগতের সংগে সম্পর্কযুক্ত। এগুলো থেকে দৈহিক চাহিদার উৎপত্তি হয়।
 
 
২.         মন/প্রাণ (Soul) : গ্রীক ভাষায় সূকে (Psuche), যার অর্থ প্রাণ বায়ু। প্রাণ মানুষের জীবনের একটি অভ্যান্তরীন ও অশরীরী অংশ। এটি মানুষের চিন্তা শক্তি, ইচ্ছা শক্তি, রূহানিক ক্ষুধা, আবেগ এবং আকাংখার উৎপত্তি স্থল। মানুষের মানসিক চাহিদার উৎপত্তি হয় এই অংশ থেকে।
 
 
৩.         রূহ (spirit) : গ্রীক ভাষায় নিউমা (Pneuma), যার অর্থ ‘বাতাস’ (Wind)। তাই রূহকে বাতাসের সাথে তুলনা করা হয়েছে। এই অংশটি অদৃশ্য, অশরীরী এবং শক্তিশালী। রূহ মানব জীবনের সবচেয়ে উচ্চমানের অংশ। এই অংশের খোদাকে জানার এবং খোদার সাথে যোগাযোগ করার ক্ষমতা রয়েছে। এই অংশের কখনও মৃত্যু হয় না (হেদায়তকারী খ- ১২ : ৭ আয়াত)। রূহ সেই অংশ যা মানুষকে পশুর থেকে পৃথক করে। এই অংশ দ্বারা মানুষের রূহানিক চাহিদা পূরণ হয়।
 
 
 
গুনাহ্ কি?
 
 
যে সমস্ত বিষয় মানুষকে খোদার কাছ থেকে দূরে রাখে তা-ই হলো গুনাহ। এক কথায় বলা যায় খোদার অবাধ্য হওয়াই গুনাহ।
 
 
গুনাহ্ দু’প্রকার-
 
ক) রূহানিক গুনাহ এবং খ) জাগতিক গুনাহ।
 
ক) রূহানিক গুনাহ্ : উত্তরাধিকার সূত্রে যা আমরা হযরত আদম (আঃ) এবং বিবি হাওয়া (আঃ) থেকে পেয়েছি। আর তা হলো অবাধ্যতা। হযরত আদম (আঃ) এর প্রথম দু’সন্তান হাবিল ও কাবিল। গুনাহের ফলে কাবিল তার বড় ভাইকে হত্যা করল (পয়দায়েশ ৪ : ৩-১৫ আয়াত)। হযরত দাউদ নবী বলেছিলেন, আমার মাতা আমাকে গুনাহে জন্ম দিয়েছিলেন (জবুর শরীফ ৫১ : ৫ আয়াত)। হযরত ঈসা মসীহ বলেছেন, যা রূহ থেকে জন্মে তা রূহ্ এবং যা মাংস থেকে জন্মে তা মাংস (ইউহোন্না ৩ : ৫-৬আয়াত)। ফলে জন্মগত ভাবে আমরা গুনাহের স্বভাবের অধিকারী। পাপ স্বভাবের কাজ হলো (রোমীয় ৭ : ১৪-২০আয়াত)।
 
খ) জাগতিক গুনাহ : এই জগতে জীবন যাপন করতে গিয়ে আমরা যে সমস্ত গুনাহ করে থাকি তা। যেহেতু আমরা গুনাহের স্বভাবের অধীন, সেহেতু আমরা জগতে গুনাহ করে থাকি। জগতে যা আছে তা হলো : দেহের কামনা, চোখের লোভ এবং সাংসারিক বিষয়ে অহংকার (১ ইউহোন্না ২ : ১৫-১৭ আয়াত)।
 
 
কিতাব এই কথা বলে, আমরা সকলে গুনাহ করেছি এবং খোদার প্রশংসা পাবার অযোগ্য হয়ে পড়েছি (রোমীয় ৩ : ২৩ আয়াত)।
 
♦         আমরা জিহ্বা দিয়ে গুনাহ করে থাকি (ইয়াকুব ৩ : ১-১০ আয়াত)।
 
♦         গুনাহ স্বভাবের ফলে গুনাহ করে থাকি (রোমীয় ৮ : ৭-৮ আয়াত)। শরীয়তের মাধ্যমে আমরা গুনাহ থেকে মুক্ত হতে পারি না।
 
♦         ভার কাজ করতে জেনেও যে তা না করে সে গুনাহ করে (ইয়াকুব ৪ : ১৭ আয়াত)।
 
♦         সবাই গুনাহগার। ব্যভিচারী স্ত্রীলোকটির বিচার কেউ করতে পারে নি (ইউহোন্না ৮ : ১-১১ আয়াত)।
 
♦         অন্যকে ঘৃনা ও রাগ করা গুনাহ (মথি ৫ : ২১-২২ আয়াত)।
 
♦         ব্যভিচার করার চিন্তা করাও গুনাহ (মথি ৫: ২৭ - ২৮ আয়াত)।
 
♦         লোক দেখানো ধর্মকর্ম করা গুনাহ (মথি ৬ : ১ আয়াত)।
 
 
গুনাহের ফল কি?
 
গুনাহের ফল মৃত্যু (রোমীয় ৬ : ২৩ আয়াত)
সুতরাং সমস্ত মানুষ গুনাহগার ও দূর্বল। কেউ নিজের শক্তি দিয়ে কাজ করে খোদাকে সন্তুষ্ট করতে পারে না।
 
 
নাজাত
 
 
নাজাত কি ?
নাজাত শব্দের অর্থ হলো উদ্ধার বা মুক্তি। অর্থাৎ গুনাহ থেকে মুক্ত হয়ে বা ক্ষমা লাভ করে খোদার সান্নিধ্য লাভ করা।
 
 
 
 
 
 
 
 
 
কিভাবে নাজাত পাওয়া যায়?
 
ভাল কাজ দ্বারা আমরা খোদাকে সন্তুষ্ট করতে পারি না। কারণ সমস্ত মানুষই গুনাহগার। তাই নাজাত পেতে হলে রক্ত দান করতে হবে।
 
♦         হযরত মুসা নবী শরীয়ত মতে প্রত্যেকেই রক্তের দ্বারাই পবিত্র হয় (ইব্রাণী ৯ : ২২ আয়াত)।
 
♦         বনী ইস্রায়েল জাতির জন্য পশু কোরবানীর নিয়ম করা হয়েছিল (লেবীয় ১৭ : ১১-১২)।
 
♦         হযরত মুসা নবী ইস্রায়েল জাতির জন্য পশুর রক্ত ছিটিয়ে দিয়েছিলেন (হিজরত ২৪ : ৬-৮ আয়াত)
 
♦         বনী ইস্রায়েল জাতির জন্য পশু কোরবানীর রক্ত নিয়ে প্রধান ইমাম বছরে একবার বায়তুল মোকাদ্দসে প্রবেশ করতেন (হিজরত ৩০ : ১০; লেবীয় ১৬ : ২৭; ইব্রাণী ৯ : ৭ আয়াত)।
 
♦         একইভাবে মোহাম্মদীগণও পশু কোরবানী দিয়ে থাকেন (সুরা বাকারা ১৯৬; সুরা মায়েদা ২; সুরা হজ্ব ৩৪, ৩৭-৩৮ আয়াত)।
 
 
তাহলে শরীয়ত কি খারাপ?
 
নিশ্চয় নয়। তবে শরীয়তের মাধ্যমে আমরা বুঝতে পারি যে, আমরা গুনাহগার। রোমীয় ৭ : ৭-১৩ এবং ১তীমথিয় ১ : ৮-১০আয়াত)।
 
♦         শরীয়ত গুনাহের বিষয়ে চেতনা দেয় (রোমীয় ৩ : ২০ আয়াত)
 
কিন্তু পশু কোরবানী ছিল একটি অস্থায়ী নিয়ম, খোদা মানব জাতিকে তাঁর সাথে রাখবার জন্য একটি স্থায়ী নিয়ম করলেন (যিরমিয় ৩১ : ৩১-৩৪ আয়াত)। সেই স্থায়ী নিয়ম করা হলো যেন মানব জাতি স্থায়ীভাবে তাদের রূহানিক ও জাগতিক গুনাহের ক্ষমা লাভ করতে পারে। তাই খোদা তাঁর অতি প্রিয় নবী হযরত ঈসা মসীহকে দুনিয়াতে পাঠিয়ে দিলেন।
 
♦         হযরত ঈসা মসীহ দুনিয়াতে এসে নিজের রক্ত দিয়ে মানব জাতির গুনাহের প্রায়শ্চিত্ত করলেন (ইব্রাণী ৯ : ১২; ২৬-২৮আয়াত)।
 
♦         খোদা এবং মানব জাতির মধ্যে যে সম্পর্ক হযরত আদম (আঃ) এবং বিবি হাওয়া (আঃ) এর মাধ্যমে ছিন্ন হয়েছিল (রোমীয় ৫ :
১২ আয়াত); হযরত ঈসা মসীহ তাঁর নিজের রক্ত দিয়ে সেই সম্পর্ক পুনঃস্থাপন করে খোদার সাথে মানব জাতির মিলন করিয়ে দিলেন। যেন খোদা অতি প্রিয় সৃষ্টি মানুষ তাঁর সাথে বেহেস্তে থাকতে পারেন (কলসীয় ১ : ২০ আয়াত)।
 
♦         হযরত ঈসা মসীহ নিজে তা জানতেন এবং বলে গিয়েছিলেন (মথি ২৬ : ২৮ আয়াত)
 
♦         হযরত ঈসা মসীহের রক্ত ছিল নির্দোষ ও নিষ্কলংক (১ পিতর ১ : ১৯; রোমীয় ৩ : ২৬ আয়াত)
 
♦         তাঁর রক্ত শরীয়তের শক্তিকে বাতিল করেছে (ইফিষীয় ২ : ১৪ আয়াত)
 
♦         তাঁর রক্তের মধ্যেই আখেরী বা অনন্ত জীবন (ইউহোন্না ৬ : ৫৩-৫৪ আয়াত)
 
♦         তাঁর রক্তে গুনাহের ক্ষমা লাভ করা যায় (১ ইউহোন্না ১ : ৭ - ১০ আয়াত)।
 
♦         তিনি মুক্তির মূল্যরূপে নিজের প্রাণ দিয়েছেন (মার্ক ১০ : ৪৫ আয়াত)।
 
♦         হারানোরদের জন্য মসীহ এসেছেন (মথি ১৮ : ১১ আয়াত)
 
 
নাজাত পাবার উপায়
 
♦         দুনিয়াতে ও আখেরাতে একমাত্র মসীহ নামেই নাজাত পাওয়া যায় (প্রেরিত ৪ : ১২ আয়াত)
 
♦         গুনাহ স্বীকার করতে হবে (লুক ৫ : ৮; ১ ইউহোন্না ১ : ৮-১০ আয়াত)
 
♦         হযরত ঈসা মসীহের উপর ঈমান আনতে হবে (ইউহোন্না ৩ : ১৬-১৭ আয়াত)
 
♦         তিনি চিরস্থায়ী মধ্যস্থকারী (ইব্রাণী ৯ : ১৫ ; ১ তীমথিয় ২ : ৫ আয়াত)
 
♦         তিনি এখনও জীবত আমাদের জন্য অনুরোধ করতে (ইব্রাণী ৭ : ২৫ আয়াত)।
 
 
 
নাজাতের নিশ্চয়তা
 
আমরা কিভাবে জানব যে, আমরা গুনাহের ক্ষমা লাভ করে নাজাত পেয়েছি? আমাদের জীবনে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যদি আমরা অন্তরে বুঝতে না পারি যে, আমরা সত্যিই নাজাত পেয়েছি তাহলে হযরত ঈসা মসীহের উপর ঈমান আনবার পরে আমাদের অন্তরে সত্যিকারের আনন্দ থাকবে না এবং আমরা অন্যের কাছেও সেই সাক্ষ্য দিতে বা তবলীগ করতে পারব না। তাই এই বিষয়টি বুঝা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
 
♦         হযরত ঈসা মসীহ বলেছেন, তিনি গুনাহগারদের জন্য এসেছিলেন (মথি ৯ : ১২-১৩; মার্ক ২ : ১৭ আয়াত)
 
♦         তিনি বলেছেন, তিনি আমাদের বোঝা গ্রহন করে আমাদেরকে বিশ্রাম দিবেন (মথি ১১ : ২৮-৩০ আয়াত)।
 
♦         আমাদের আর বিচারে আনিত হবে না (ইউহোন্না ৩ : ১৮-১৯ আয়াত)
 
♦         মসীহের উপর ঈমান আনার সাথে সাথে নাজাত পাওয়া যায় (ইউহোন্না ৩ : ৩৬; ৫ : ২৪ আয়াত)
 
♦         তিনিই পথ, সত্য ও জীবন (ইউহোন্না ১৪ : ৬ আয়াত)
 
♦         তিনি আমাদের জন্য তাঁর প্রাণ দিয়েছেন (রোমীয় ৫ : ৮ আয়াত)।
 
♦         আমাদের জীবনে পরিবর্তন আসবে (২ করিন্থীয় ৫ : ১৭ আয়াত)।
 
♦         আমরা নিশ্চয় মসীহের মধ্য দিয়ে নাজাত পেয়েছি ( রোমীয় ৫ : ৯-১১ আয়াত)
 
♦         জীবনের পরিপূর্ণতা পেয়েছি (রোমীয় ৫ : ১৭, ২১ আয়াত)
 
♦         আমাদেরকে পাক-রূহ দ্বারা সীলমোহর করা হয়েছে (ইফিষীয় ১ : ১৩ আয়াত)
 
♦         খোদার রহমতে আমরা গুনাহের ক্ষমা পেয়েছি (ইফিষীয় ১ : ৭-৮ ও ২ : ৮-৯ আয়াত)
 
♦         খোদা আমাদেরকে তাঁর নিকটে এনেছেন (ইফিষীয় ২ : ১৩ আয়াত)।
 
♦         ইহজগতে ও পরজগতে শতগুন ফিরিয়ে দিবেন (মার্ক ১০ : ২৯-৩০; লূক ১৮ : ২৯-৩০ আয়াত)
 
 
 
সুতরাং, যেহেতু আমরা নাজাত পেয়েছি, তাই আমাদের দায়িত্বও রয়েছে। তা হলো- অন্যের সাথে খোদার মিলন করিয়ে দেয়া ২ করিন্থীয় ৫ : ১৮ আয়াত)। আর তা করতে হবে বিনামূল্যে (মথি ১০ : ৮ আয়াত)।
আমেন।।